Index

জেফানিয়া - Chapter 2

1 জড় হও, জড় হও, হে নির্লজ্জ যত দেশ,
2 পাছে একদিনেই মিলিয়ে যাওয়া তুষের মত ছড়িয়ে পড় পাছে তোমাদের নাগাল পায় প্রভুর জ্বলন্ত রোষ, পাছে তোমাদের নাগাল পায় প্রভুর ক্রোধের দিন।
3 প্রভুর অন্বেষণ কর, হে পৃথিবীর সকল বিনম্র মানুষ, যারা তাঁর আদেশগুলি পালন করে থাক। ধর্মময়তার অন্বেষণ কর, বিনম্রতার অন্বেষণ কর, তবেই প্রভুর ক্রোধের দিনে হয় তো আশ্রয় পেতে পারবে।
4 কারণ গাজা উৎসন্ন হবে, ও আস্কালোন ধ্বংসস্থান হবে ; আসদোদকে মধ্যাহ্নকালেই দেশছাড়া করা হবে, ও এক্রোনকে সমূলে উচ্ছেদ করা হবে।
5 সমুদ্রের উপকূল-বাসীদের ধিক! কেরেণীয়দের জাতিকে ধিক! প্রভুর বাণী তোমারই বিরুদ্ধে, ফিলিস্তিনিদের দেশ যে কানান ! 'আমি তোমাকে এমনভাবে উচ্ছেদ করব যে, তোমাতে আর কোন বাসিন্দা থাকবে না।
6 সমুদ্রতীরে যে অঞ্চল, তা রাখালদের চারণভূমি ও মেঘঘেরিতে পরিণত হবে।
7 সেই অঞ্চল যুদাকুলের অবশিষ্টাংশের অধিকার হবে : তারা সেখানে পাল চরাবে, সন্ধ্যাবেলায় আস্কালোনের ঘরে ঘরে বিশ্রাম নেবে, কেননা তাদের পরমেশ্বর প্রভু তাদের দেখতে এসে তাদের দশা ফেরাবেন।
8 আমি মোয়াবের অপমান ও আস্থোনীয়দের টিটকারি শুনেছি; তারা আমার আপন জনগণকে অপমান করেছে, নিজেদের এলাকার বিষয়ে বড়াই করেছে।
9 এজন্য, আমার জীবনেরই দিব্যি, — সেনাবাহিনীর প্রভু, ইস্রায়েলের পরমেশ্বরের উক্তি— মোয়াব সদোমের মত ও আম্মোনীয়েরা গমোরার মত হবে: হ্যাঁ, হবে কাঁটাঝোপের স্থান, লবণের ঢিপি, চিরন্তন ধ্বংসস্থান। আমার জনগণের অবশিষ্টাংশ তাদের সম্পত্তি লুট করবে, ও আমার আপন জাতির অবশিষ্ট লোকেরা তাদের অধিকার নেবে।
10 এমনটি ঘটবে তাদের অহঙ্কারের ফলে, কেননা তারা সেনাবাহিনীর প্রভুর আপন জনগণকে অপমান করেছে ও টিটকারি দিয়েছে।
11 প্রভু ওদের প্রতি ভয়ঙ্কর হবেন, কারণ তিনি পৃথিবীর সকল দেবতাকে ছড়িয়ে দেবেন; তখন সারা বিশ্বের জাতিগুলি, প্রত্যেকে নিজ নিজ দেশে, তাঁর উদ্দেশে প্রণিপাত করবে।
12 হে ইথিওপীয়েরা, তোমরাও আমার খড়্গ দ্বারা বিদ্ধ হবে।'
13 তিনি উত্তরদিকের বিরুদ্ধেও হাত বাড়িয়ে আসিরিয়াকে বিনাশ করবেন, নিনিভেকে উৎসন্নস্থান করবেন, মরুপ্রান্তরের মত জলহীন ভূমিই তা করবেন।
14 উপত্যকার যত জন্তু তার মধ্যে পাল পাল ধরে বাস করবে; গগনভেলা ও শজারুও তার স্তম্ভগুলোর মাথলার উপরে রাত কাটাবে ; জানালার মধ্য দিয়ে পেঁচার ডাক ধ্বনিত হবে ; দরজায় দরজায় উৎসন্নতা থাকবে, কারণ এরসগাছ নামিয়ে দেওয়া হল।
15 এই কি সেই উল্লাসিনী নগরী, যা ভরসাভরে বাস করত, যা মনে মনে বলত : “আমিই আছি, আমি ব্যতীত আর কেউ নেই?' কেমন করে সে মরুপ্রান্তর হয়ে গেছে, হয়ে গেছে পশুদের শয়নস্থান ? যে কেউ তার কাছ দিয়ে যায়, সে শিস দেয় ও হাত নাড়ায়।