1 দেখ! আমি আমার দূত প্রেরণ করব, তিনি আমার সম্মুখে পথ প্রস্তুত করবেন। তখন সেই যে প্রভুকে তোমরা অন্বেষণ করছ, তিনি হঠাৎ আপন মন্দিরে আসবেন; সেই যে সন্ধির দূতকে তোমরা আকাঙ্ক্ষা করছ, দেখ! তিনি আসছেন—একথা বলছেন সেনাবাহিনীর প্রভু।
2 কিন্তু তাঁর আগমনের দিন কে সহ্য করতে পারবে? তিনি দেখা দিলে কে দাঁড়াতে পারবে? কারণ তিনি ধাতুশোধকের আগুনের মত, রজকের ক্ষারের মত।
3 তিনি নিখাদ করতে ও শোধন করতে আসন নেবেন তিনি লেবি-সন্তানদের পরিশুদ্ধ করবেন, এবং সোনা ও রুপোর মত তাদের : বিশুদ্ধ করবেন, যেন তারা প্রভুর উদ্দেশে ধর্মিষ্ঠতার সঙ্গেই অর্ঘ্য নিবেদন করতে পারে।
4 তখন যুদার ও যেরুসালেমের অর্ঘ্য প্রস্তুর গ্রহণীয় হবে, যেমনটি পুরাকালে, প্রাচীনকালের বছরগুলিতে ছিল।
5 আমি বিচার করতে তোমাদের কাছে এগিয়ে আসছি, এবং মায়াবী, ও ব্যভিচারীদের, মিথ্যা শপথকারীদের বিরুদ্ধে, এবং যারা মজুরি বিষয়ে মঞ্জুরকে, এবং বিধবা ও এতিমকে অত্যাচার করে, প্রবাসীকে মানবাধিকার-বিচ্যুত করে, ও আমাকে ভয় করে না, তাদের বিরুদ্ধে আমি সদিচ্ছুক সাক্ষী হব—একথা বলছেন সেনাবাহিনীর প্রভু।
6 আমি প্রভু, আমাতে কোন পরিবর্তন নেই, কিন্তু যাকোবের সন্তান হওয়ায় তোমরা তো কখনও ক্ষান্ত হও না!
7 তোমাদের পিতৃপুরুষদের সময় থেকে তোমরা আমার বিধিগুলো থেকে সরে পড়েছ, তা পালন করনি। আমার কাছে ফিরে এসো, আমিও তোমাদের কাছে ফিরে আসব একথা বলছেন সেনাবাহিনীর প্রভু। কিন্তু তোমরা বলে থাক, ‘আমরা কিভাবে ফিরব ?”
8 আদম কি পরমেশ্বরকে ঠকাবে? অথচ তোমরা আমাকে ঠকিয়ে থাক; আবার বলছ, “কিসেতেই বা তোমাকে ঠকিয়েছি?' দশমাংশ ও প্রথমাংশের বিষয়েই ঠকিয়েছ।
9 তোমরা অভিশাপের পাত্র হয়েছ অথচ আমাকে এখনও ঠকাচ্ছ, হ্যাঁ, তোমরা, এই গোটা জাতি !
10 তোমরা পুরা দশমাংশই ভাণ্ডারে আন, যেন আমার গৃহে খাদ্য থাকে, এরপর আমাকে পরীক্ষা কর—একথা বলছেন সেনাবাহিনীর প্রভু—আমি তোমাদের জন্য আকাশের সকল বাঁধের দ্বার খুলে দিয়ে তোমাদের উপর অপরিমেয় আশীর্বাদ বর্ষণ করি কি না।
11 তোমাদের খাতিরে আমি সেই ধ্বংসনকারী পোকাকে তোমাদের ভূমির ফল বিনষ্ট করতে ও খেতে তোমাদের আঙুরলতা ফলহীন করতে নিষেধ করব—একথা বলছেন সেনাবাহিনীর প্রভু।
12 জাতি-বিজাতি সকলে তোমাদের সুখী বলবে, কারণ তোমরা প্রীতি-দেশ হবে – একথা বলছেন সেনাবাহিনীর প্রভু।
13 আমার বিরুদ্ধে তোমাদের সমস্ত কথা যথেষ্টই শক্ত—একথা বলছেন প্রভু- অথচ তোমরা বলে থাক, 'আমরা কিসেতেই বা তোমার বিরুদ্ধে কথা বলেছি?'
14 তোমরা বলেছ, ‘পরমেশ্বরের সেবা করা অনর্থক: তাঁর সমস্ত আদেশ মেনে চলায় ও সেনাবাহিনীর প্রভুর সামনে শোকের সঙ্গে হেঁটে চলায় কী লাভ?
15 বরং সেই দর্পীদেরই আমাদের সুখী বলা উচিত, যারা অপকর্ম সাধন করেও সুপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং পরমেশ্বরকে যাচাই করেও নিষ্কৃতি পায়।
16 তখন যারা ঈশ্বরভীরু ছিল, তারা এপ্রসঙ্গে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করল, এবং প্রভু কান পেতে শুনলেন ; তাই যারা প্রভুকে ভয় করত ও তাঁর নাম স্মরণে রাখত, তাদের বিষয়ে তাঁর সাক্ষাতে একটা স্মৃতি-পুস্তক লেখা হল।
17 যেদিন আমি আমার কাজ সাধন করব—একথা বলছেন সেনাবাহিনীর প্রভু- সেইদিন তারা হবে আমার নিজস্ব অধিকার, এবং আমি তাদের প্রতি মমতা দেখার যেমনটি মানুষ সেই ছেলের প্রতি মমতা দেখায় যে তাকে সেবা করে।
18 তখন তোমরা মন ফেরাবে, এবং ধার্মিক ও দুর্জনের মধ্যে, পরমেশ্বরের যে সেবা করে ও তাঁর সেবা যে করে না, এই দুইয়ের মধ্যে প্রভেদ দেখবে।
19 কেননা দেখ, সেই দিনটি আসছে, তা হাপরের মতই জ্বলন্ত। দর্পী ও অন্যায়কারী সকলে খড়কুটোর মত হবে; আর সেই দিনটি যখন আসবে, তা তখন তাদের পুড়িয়ে দেবে—একথা বলছেন সেনাবাহিনীর প্রভু—আর তাদের মূল বা শাখা কিছুই বাকি রাখবে না।
20 কিন্তু আমার নাম ভয় কর যে তোমরা, তোমাদের জন্য উদিত হবেন ধর্মময়তার সেই সূর্য, যাঁর রশ্মিতে থাকবে আরোগ্যদান। তোমরা তখন বেরিয়ে পড়ে গোশালার বাছুরের মত লাফ দিতে লাগবে,
21 এবং সেই দুর্জনদের মাড়িয়ে দেবে, যারা আমার কাজ সাধনের দিনে তোমাদের পদতলে ছাইয়ের মত হবে!—একথা বলছেন সেনাবাহিনীর প্রভু।
22 তোমরা আমার দাস মোশীর বিধান স্মরণ কর; তাকে আমি হোরেবে গোটা ইস্লায়েলের জন্য বিধিগুলো ও নিয়মনীতি আজ্ঞা করেছিলাম।
23 দেখ, প্রভুর সেই মহা ও ভয়ঙ্কর দিন আসবার আগে, আমি তোমাদের কাছে নবী এলিয়কে প্রেরণ করব ;
24 সে পিতাদের হৃদয় ছেলেদের প্রতি, এবং ছেলেদের হৃদয় পিতাদের প্রতি ফেরাবে—পাছে আমি এসে পৃথিবীকে বিনাশ-মানতে আঘাত করি।