1 স্বাধীনতার উদ্দেশ্যেই খ্রিষ্ট আমাদের স্বাধীন করেছেন: সুতরাং তোমরা স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাক, এবং দাসত্বের জোয়াল তোমাদের ঘাড়ে দিতে আর দিয়ো না।
2 দেখ, আমি পল তোমাদের নিজেই বলছি, তোমরা যদি পরিচ্ছেদন গ্রহণ করে নাও, তবে খ্রিষ্টকে নিয়ে তোমাদের কিছুতেই উপকার হবে না।
3 যে কেউ পরিচ্ছেদন গ্রহণ করে নেয়, তাকে আমি আবার স্পষ্ট বলছি, সে সমস্ত বিধান পালন করতে বাধ্য।
4 তোমরা যারা বিধানে ধর্মময়তা পেতে চেষ্টা করছ, খ্রিষ্ট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছ, অনুগ্রহ থেকে পতিত হয়েছ।
5 কেননা আমরা আত্মা দ্বারা বিশ্বাসগুণেই ধর্মময়তা-লাভের প্রত্যাশার ফল প্রতীক্ষা করছি ;
6 কারণ খ্রিষ্টযিশুতে পরিচ্ছেদনেরও কোন মূল্য নেই, অপরিচ্ছেদনেরও কোন মূল্য নেই, কিন্তু ভালবাসা দ্বারা কার্যকর বিশ্বাসই মূল্যবান।
7 আহা, তোমরা সুন্দরভাবেই দৌড়চ্ছিলে ; কে তোমাদের বাধা দিল যে, তোমরা সত্যের প্রতি আর বাধ্য নও?
8 যিনি তোমাদের আহ্বান করেছেন, তাঁর কাছ থেকে তেমন প্ররোচনা আসেইনি।
9 সামান্য একটু খামির ময়দার পিন্ডটা সবই গাঁজিয়ে তোলে।
10 তোমাদের বিষয়ে প্রভুতে আমার এমন দৃঢ় প্রত্যয় আছে যে, তোমাদের ধারণা আমার ধারণা থেকে ভিন্ন হবে না; কিন্তু তোমাদের যে অস্থির করে, সে যেই হোক না কেন তার যোগ্য শাস্তি ভোগ করবে।
11 ভাই, যদি এখনও পরিচ্ছেদনের কথা প্রচার করি, তবে আমি কেন এতক্ষণে নির্যাতিত হচ্ছি? তবে ক্রুশের স্খলন কি বাতিল হয়েছে?
12 যারা তোমাদের অস্থির করে তুলছে, তারা আরও বেশি এগিয়ে যাক, অর্থাৎ, নিজেদের সেই সবই ছেটে ফেলুক !
13 কেননা, হে ভাই, তোমরা স্বাধীনতার জন্যই আহুত হয়েছ। শুধু দেখ, তেমন স্বাধীনতাকে মাংসের পক্ষে সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করো না। বরং ভালবাসার মাধ্যমে পরস্পরের সেবা কর।
14 কারণ সমগ্র বিধান এই একটা বচনেই পূর্ণতা লাভ করে, তোমার প্রতিবেশীকে তুমি নিজের মত ভালবাসবে।
15 কিন্তু তোমরা যদি একে অপরকে কামড়াও ও দীর্ঘ-বিদীর্ণ কর, তাহলে সাবধান, পাছে পরস্পর দ্বারা কবলিত হও।
16 তাই আমি বলছি, তোমরা আত্মা দ্বারা চালিত হয়ে চল, তাহলেই মাংসের কামনা আর মেটাতে হবে না;
17 কারণ মাংসের যা কাম্য, তা আত্মার বিরোধী এবং আত্মার যা কাম্য, তা মাংসের বিরোধী। আসলে এই দুই পক্ষ তো পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বী, ফলে তোমরা যা করতে চাও, তা করতে পার না।
18 অপরদিকে যদি আত্মা দ্বারা নিজেদের চালিত হতে দাও, তবে তোমরা বিধানের অধীনস্থ নও।
19 মাংসের যত কর্মফল তো স্পষ্ট : যৌন অনাচার, অশুচিতা, যৌন উচ্ছৃঙ্খলতা,
20 পৌত্তলিকতা, তন্ত্রমন্ত্র সাধন, শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, ক্রোধ, রেষারেষি, মনোমালিন্য, দলাদলি,
21 হিংসা, মাতলামি, পানোন্মত্ত হইচইপূর্ণ ভোজ-উৎসব আর ওই ধরনের সমস্ত কিছু। আগে যেমন এই বিষয়ে আমি বলেছিলাম, এখনও তোমাদের সতর্ক করে বলছি: যারা তেমন আচরণ করে, তারা ঈশ্বরের রাজ্যের উত্তরাধিকারী হবে না।
22 অপরদিকে আত্মার ফল হল : ভালবাসা, আনন্দ, শান্তি, সহিষ্ণুতা, সহৃদয়তা, মঙ্গলানুভবতা, বিশ্বস্ততা,
23 কোমলতা, আত্মসংযম; এই সবকিছুর বিরুদ্ধে কোন বিধান নেই।
24 আর যারা খ্রিস্টযিশুরই, তারা নিজ মাংসকে তার যত কামনা-বাসনা সমেত ক্রুশে দিয়েছে।
25 আমরা যখন আত্মা গুণে জীবিত আছি, তখন এসো, আত্মা দ্বারা চালিত হয়ে চলি।
26 এসো, আমরা যেন অসার অহঙ্কার না করি, পরস্পরকে জ্বালাতন না করি, পরস্পরকে ঈর্ষা না করি।