1 হে নির্বোধ গালাতীয়েরা, কেইবা তোমাদের জাদু করেছে? অথচ তোমাদেরই চোখের সামনে সেই যিশুখ্রিষ্টের ক্রুশবিদ্ধ ছবি উজ্জ্বলভাবে অঙ্কিত হয়েছিল।
2 আমি তোমাদের কাছ থেকে কেবল এই কথা জানতে চাই, তোমরা কি বিধানের আদিষ্ট কর্ম দ্বারাই আত্মাকে পেয়েছ? নাকি যা শুনেছিলে তাতে বিশ্বাস দ্বারা?
3 তোমরা কি সত্যিই এমন নির্বোধ যে, আত্মায় আরম্ভ করে এখন শেষ লক্ষ্যের দিকে মাংস দ্বারাই চালিত হতে চাচ্ছ?
4 তাই তোমরা যা যা অভিজ্ঞতা করেছিলে, তা কি সব বৃথা গেল?—অন্তত তা যদি বৃথা যেত!
5 তবে কি, যিনি আত্মাকে তোমাদের মঞ্জুর করেন ও তোমাদের মধ্যে পরাক্রম-কর্ম সাধন করেন, তিনি কি বিধানের আদিষ্ট কর্ম দ্বারাই তা করেন? নাকি তোমরা যা শুনেছিলে তাতে বিশ্বাস দ্বারা?
6 এভাবেই তো আব্রাহাম ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখলেন, এবং তা তাঁর পক্ষে ধর্মময়তা বলে পরিগণিত হল।
7 সুতরাং জেনে রাখ, যারা বিশ্বাস থেকে আগত, তারাই আব্রাহামের সন্তান।
8 আর বিশ্বাস দ্বারাই যে ঈশ্বর বিজাতীয়দের ধর্মময় বলে সাব্যস্ত করবেন, শাস্ত্র তা আগে থেকে দেখে আব্রাহামের কাছে এই শুভসংবাদ পূর্বঘোষণা করেছিলেন, যথা: সমস্ত জাতি তোমাতে আশিসপ্রাপ্ত হবে।
9 সুতরাং যারা বিশ্বাস থেকে আগত, তারা বিশ্বাসী আব্রাহামের সঙ্গে সেই আশীর্বাদের পাত্র।
10 বাস্তবিক যারা বিধানের আদিষ্ট কর্মের উপর নির্ভর করে, তারা সকলে অভিশাপের অধীন, কারণ লেখা আছে, যে কেউ বিধান-পুস্তকে লেখা সমস্ত কথা পালন করার জন্য তাতে স্থিতমূল থাকে না, সে অভিশপ্ত।
11 তাছাড়া, বিধান দ্বারা কেউই যে ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ধর্মময় বলে সাব্যস্ত হয় না, একথা সুস্পষ্ট, কারণ বিশ্বাসগুণে যে ধার্মিক, সে বাঁচবে।
12 কিন্তু বিধান বিশ্বাসমূলক নয়, বরং যে কেউ এই সমস্ত পালন করবে, সে সেগুলোতে জীবন পাবে।
13 খ্রিষ্টই মূল্য দিয়ে বিধানের অভিশাপ থেকে আমাদের মুক্ত করেছেন, কারণ তিনি আমাদের জন্য অভিশাপস্বরূপ হলেন, কেননা লেখা আছে, যাকেই পাছে ঝুলানো হয়, সে অভিশপ্ত,
14 যেন আব্রাহামের সেই পাওয়া আশীর্বাদ খ্রিস্টযিশুতে বিজাতীয়দের কাছে যায়, আর আমরা যেন বিশ্বাস দ্বারা সেই প্রতিশ্রুত আত্মাকে পেতে পারি।
15 ভাইয়েরা, সাধারণ একটা উদাহরণ দিচ্ছি : একটা ইচ্ছাপত্র মানবীয় হলেও তা যখন স্থিরীকৃত হয়, তখন কেউ তা বিফল করতে পারে না, তাতে নতুন কোন কথাও যোগ করতে পারে না।
16 আচ্ছা, আব্রাহামের প্রতি ও তাঁর বংশধরের প্রতিই তো সেই সমস্ত প্রতিশ্রুতি উচ্চারিত হয়েছিল। শাস্ত্র বহুবচনে 'আর তোমার বংশধরদের প্রতি' না ব'লে একবচনে বলে, আর তোমার বংশধরের প্রতি, যে বংশধর স্বয়ং খ্রিষ্ট।
17 এখন আমি বলছি, যে ইচ্ছাপত্র ঈশ্বর দ্বারা আগে স্থিরীকৃত হয়েছিল, চারশ' তিরিশ বছর পরে আগত একটা বিধান সেই ইচ্ছাপত্রকে বাতিল করতে পারে না, ফলে প্রতিশ্রুতিকেও বাতিল করতে পারে না!
18 কেননা উত্তরাধিকার যদি বিধানমূলক হয়, তবে আর প্রতিশ্রুতিমূলক হতে পারে না; কিন্তু আব্রাহামকে ঈশ্বর সেই প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়েই তা দান করেছিলেন।
19 তবে বিধান কেন? অপরাধ লক্ষ ক'রেই তা যোগ করা হয়েছিল, যতদিন সেই 'বংশধর' না আসেন যাঁর জন্য সেই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল; আর বিধান স্বর্গদূতদের দ্বারা, একজন মধ্যস্থ দ্বারাই জারি করা হয়েছিল।
20 মধ্যস্থ তো একজনের জন্য হয় না, অপরদিকে ঈশ্বর এক।
21 তবে বিধান কি ঈশ্বরের সমস্ত প্রতিশ্রুতি-বিরুদ্ধ? দূরের কথা! কেননা যদি এমন বিধান দেওয়া হত যা জীবন দান করতে সক্ষম, তবে ধর্মময়তা নিশ্চয়ই বিধানমূলক হত।
22 কিন্তু শাস্ত্র সবকিছুই পাপের অধীনে রুদ্ধ করেছে, যেন সেই প্রতিশ্রুতি যিশুখ্রিষ্টে বিশ্বাস দ্বারাই বিশ্বাসীদের দেওয়া হয়।
23 কিন্তু বিশ্বাস আসবার আগে আমরা বিধানের অধীনে রুদ্ধ ছিলাম, সেই বিশ্বাসেরই অপেক্ষায় রুদ্ধ ছিলাম, যা পরে প্রকাশিত হওয়ার কথা।
24 তাই বিধান আমাদের পক্ষে একটা পরিচালক দাসেরই মত হয়ে দাঁড়াল যে খ্রিস্টের কাছে আমাদের নিয়ে গেল, আমরা যেন বিশ্বাস দ্বারা ধর্মময় বলে সাব্যস্ত হতে পারি।
25 কিন্তু বিশ্বাস আসামাত্রই আমরা সেই পরিচালক দাসের অধীন আর নই;
26 বাস্তবিকই তোমরা সকলেই খ্রিষ্টযিশুতে বিশ্বাস দ্বারা ঈশ্বরের সন্তান,
27 কারণ তোমাদের যাদের খ্রিষ্টের উদ্দেশে বাপ্তিস্ম হয়েছে, তোমরা স্বয়ং খ্রিষ্টাকেই পরিধান করেছ।
28 এখন আর ইহুদীও নেই, গ্রীকও নেই; ক্রীতদাসও নেই, স্বাধীন মানুষও নেই; পুরুষও নেই, নারীও নেই; কারণ খ্রিষ্টযিশুতে এখন তোমরা সকলেই এক।
29 'আর তোমরা যখন খ্রিস্টেরই, তখন তোমরাই আব্রাহামের বংশ, সেই প্রতিশ্রুতি অনুসারে উত্তরাধিকারী: