1 সপ্তম মাসের একবিংশ দিনে নবী হগয়ের মধ্য দিয়ে প্রভুর বাণী এসে উপস্থিত হয়ে বলল :
2 “তুমি এখন শেয়াল্টিয়েলের সন্তান যুদা-প্রদেশপাল জেরুব্বাবেলকে, যেহোসাদাকের সন্তান মহাযাজক যোওয়াকে ও জনগণের অবশিষ্ট অংশকে এই কথা বল :
3 তোমাদের মধ্যে এখনও জীবিত এমন কে আছে যে, এই গৃহকে তার পূর্বগৌরবের অবস্থায় দেখেছিল? কিন্তু এখন তা কেমন অবস্থায় দেখছ? সেটার চেয়ে এই বর্তমান অবস্থা তোমাদের কি শূন্য মনে হয় না?
4 তাই এখন সাহস ধর, হে জেরুব্বাবেল- -প্রভুর উক্তি—তুমিও সাহস ধর, হে যেহোসাদাকের সন্তান মহাযাজক যোওয়া; হে দেশের সমস্ত লোক, তোমরাও সাহস ধর—প্রভুর উক্তি—কাজে হাত দাও; কারণ আমি তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি—সেনাবাহিনীর প্রভুর উক্তি—
5 সেই সন্ধির বাণী অনুসারে, যা আমি তোমাদের সঙ্গে স্থির করেছিলাম যখন মিশর থেকে তোমাদের বের করে এনেছিলাম ; হ্যাঁ, আমার আত্মা তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে থাকবে, তোমরা ভয় করো না।
6 কেননা সেনাবাহিনীর প্রভু একথা বলছেন: আর অল্পকাল, তারপর আমি আকাশ ও পৃথিবী, সমুদ্র ও স্থলভূমি কাঁপিয়ে তুলব।
7 আমি সকল দেশ কাঁপিয়ে তুলব, তখন সকল দেশের ঐশ্বর্য ভেসে আসবে, আর আমি এই গৃহ গৌরবে পরিপূর্ণ করব—একথা বলছেন সেনাবাহিনীর প্রভু।
8 রুপোও আমারই, সোনাও আমারই—একথা বলছেন সেনাবাহিনীর প্রভু।
9 এ গৃহের প্রাচীন গৌরবের চেয়ে ভাবী গৌরব মহৎ হবে — একথা বলছেন সেনাবাহিনীর প্রভু; এই স্থানে আমি শান্তি মঞ্জুর করব— সেনাবাহিনীর প্রস্তুর উক্তি :
10 দারিউসের দ্বিতীয় বর্ষের নবম মাসের চতুর্বিংশ দিনে প্রভুর বাণী নবী হগয়ের কাছে এসে উপস্থিত হয়ে বলল :
11 ‘সেনাবাহিনীর প্রভু একথা বলছেন: তুমি ঐশনির্দেশের বিষয়ে যাজকদের কাছে প্রশ্ন রাখ; তাদের জিজ্ঞাসা কর :
12 কেউ যদি নিজের পোশাকের অঞ্চলে পবিত্রীকৃত মাংস বয়ে বেড়ায়, আর সেই অঞ্চলে রুটি, বা তরকারি, আঙুররস, তেল বা অন্য কোন খাবার স্পর্শ করা হয়, তবে সেই খাবার কি পবিত্র হবে?' যাজকেরা উত্তর দিল, 'না।'
13 তখন হগয় বললেন, ‘মৃতদেহের স্পর্শে অশুচি কোন মানুষ যদি সেগুলোর মধ্যে কোন একটা স্পর্শ করে, তবে তা কি অশুচি হবে?' যাজকেরা উত্তর দিল, 'তা অশুচি হবে।'
14 তখন হগয় বলে চললেন, “আমার সামনে এই জাতি ঠিক তাই, এই জনগণ ঠিক তাই—প্রভুর উক্তি—তাদের হাতের সমস্ত কাজও ঠিক তাই; এমনকি, তারা এখানে যা উৎসর্গ করে, তাও অশুচি।
15 এখন, দোহাই তোমাদের, আজকের দিন থেকে এবং এর পরেও তোমরা ভেবে দেখ : প্রভুর মন্দিরে পাথরের উপরে পাথর বসাতে শুরু করার আগে
16 তোমরা কেমন অবস্থায় ছিলে? লোকে কুড়ি মণ গমরাশির কাছে এলে কেবল দশ মণ ছিল, এবং মাড়াইকুণ্ড থেকে পঞ্চাশ পিপা আঙুররস নিতে এলে কেবল কুড়ি পিপা ছিল।
17 আমি গমের শোষ, গ্লানি ও শিলাবৃষ্টির আঘাতে তোমাদের হাতের সমস্ত কাজে তোমাদের আঘাত করলাম, কিন্তু তবুও তোমরা আমার প্রতি ফিরলে না—প্রভুর উক্তি।
18 তোমরা আজকের দিন থেকে, অর্থাৎ নরম মাসের চতুর্বিংশ দিন থেকে, প্রভুর মন্দিরের ভিত স্থাপনের দিন থেকেই, এবং এর পরেও তোমরা ভেবে দেখ।
19 গোলাঘরে গমের অভাব হবে কিনা, এবং আঙুরলতা, ডুমুর, ডালিম ও জলপাই গাছও ফলদানে ক্ষান্ত হবে কিনা। আজ থেকে আমি তোমাদের আশীর্বাদ করব!”
20 মাসের চতুর্বিংশ দিনে প্রভুর বাণী দ্বিতীয়বারের মত হগয়ের কাছে এসে উপস্থিত হয়ে বলল :
21 “তুমি যুদা-প্রদেশপাল জেরুব্বাবেলকে এই কথা বল, আমি আকাশ ও পৃথিবী কাঁপিয়ে তুলব;
22 যত রাজ্যের সিংহাসন উল্টিয়ে দেব, জাতি-বিজাতির সকল রাজ্যের পরাক্রম বিনষ্ট করব, রথ ও রথারোহীদের উল্টিয়ে ফেলব: অশ্ব ও অশ্বারোহী সকলেরই পতন হবে, প্রত্যেকে নিজ নিজ ভাইয়ের খড়্গোর আঘাতে পড়বে।
23 সেইদিনে — সেনাবাহিনীর প্রভুর উক্তি—আমি তোমাকে নেব, হে শেয়াল্টিয়েলের সন্তান আমার আপন দাস জেরুব্বাবেল-একথা বলছেন। স্বয়ং প্রভু—এবং তোমাকে সীল-আঙটি স্বরূপ করব, কারণ আমি তোমাকে মনোনীত করেছি—সেনাবাহিনীর প্রভুর উক্তি।'