1 তুমি কিন্তু যা যথার্থ ধর্মশিক্ষা অনুযায়ী, তা-ই শেখাও।
2 বৃদ্ধদের মিতাচারী, শ্রদ্ধা পাবার যোগ্য, আত্মসংযমী, ও বিশ্বাস, ভালবাসা ও নিষ্ঠায় স্থিতমূল হওয়া উচিত।
3 তেমনি বৃদ্ধাদের আচার-ব্যবহার যেন ভক্তজনের যোগ্য হয় ; তাঁরা যেন পরচর্চা না করেন, পানাসক্তির দাসী না হন, বরং সদাচরণ শেখাতে যোগ্য,
4 যুবতী বধূদের যেন স্বামী ও সন্তানদের ভালবাসায় গড়ে তুলতে পারেন;
5 আরও, বধূদের আত্মসংযতা, সচ্চরিত্রা, গৃহকর্মে নিষ্ঠাবতী, সহৃদয়া ও স্বামীর অনুগতা হতে শেখান, এভাবে যেন ঈশ্বরের বাণী নিন্দার বস্তু না হয়।
6 তেমনি যুবকদেরও আত্মসংযত হতে চেতনা দাও;
7 সবকিছুতে নিজেকেই সৎকর্মে আদর্শবান দেখাও ধর্মশিক্ষা দানে সত্যনিষ্ঠ ও শ্রদ্ধার যোগ্য হও;
8 তোমার ভাষাও যেন যথার্থ ও অনিন্দনীয় হয়, যেন যারা আমাদের বিপক্ষে, তারা সকলেই আমাদের নামে অপবাদ দেওয়ার মত কিছু না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে।
9 ক্রীতদাসেরা যেন সবকিছুতে তাদের মনিবদের অনুগত থাকে, প্রতিবাদ না করে তাদের সন্তুষ্ট করে,
10 কিছুই আত্মসাৎ না করে; বরং সম্পূর্ণ সততা দেখায় ; যেন তা-ই ক'রে তারা সবকিছুতেই আমাদের ত্রাণকর্তা ঈশ্বরের ধর্মশিক্ষা মর্যাদায় ভূষিত করতে পারে।
11 কেননা ঈশ্বরের অনুগ্রহ প্রকাশিত হয়েছে ও সমস্ত মানুষের জন্য পরিত্রাণ এনে দিয়েছে।
12 এই অনুগ্রহ আমাদের এই শিক্ষা দেয়, ভক্তিহীনতা ও পার্থিব যত অভিলাষ অস্বীকার ক'রে আমরা যেন এই বর্তমান যুগে আত্মসংযত, ধর্মময় ও ভক্তিময় জীবন যাপন করি,
13 এবং সেই সুখময় আশার প্রতীক্ষায়, এবং আমাদের মহান ঈশ্বর ও ত্রাণকর্তা সেই যিশুখ্রিষ্টেরই গৌরবপ্রকাশের প্রতীক্ষায় থাকি,
14 যিনি আমাদের জন্য নিজেকে দান করেছেন, যেন সমস্ত অধর্ম থেকে আমাদের মুক্তিকর্ম সাধন করতে পারেন, এবং নিজের জন্য এমন জনগণকে শুচিশুদ্ধ করে তুলতে পারেন, যারা তাঁরই নিজস্ব ও সৎকর্ম সাধনে আগ্রহী।
15 পূর্ণ অধিকারের সঙ্গে এই সমস্ত বিষয়ে কথা বলা, চেতনা দান করা ও তিরস্কার করা তোমার কর্তব্য। দেখ, কেউ যেন তোমাকে অবজ্ঞা করতে সাহস না করে।